For Advertisement
750px X 80px Call : +8801911140321এরশাদ বললেও জাপার মন্ত্রিসভা ছাড়ার আভাস নেই

এরশাদ বারবার বলছেন বটে, তবে মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির পদত্যাগের কোনো আভাস নেই। এ নিয়ে দলের মধ্যে কোনো আলোচনাই হয়নি।
মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু এসব বক্তব্যকে দেখছেন কথার কথা হিসেবে। সরকারের আর সময় বেশি বাকি নেই, এই সময়ে পদত্যাগ করলেও বিশেষ কোনো পরিবর্তন হবে না বলেই মনে করেন তিনি।
For Advertisement
750px X 80pxCall : +8801911140321
মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির সদস্যরা শিগগির পদত্যাগ করবেন-গত ১০ দিনে অন্তত দুই বার করেছেন দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কিন্তু মন্ত্রিসভার সদস্যরা বা দলের নীতি নির্ধারণী ফোরাম বিষয়টি নিয়ে এখনও বসেনি, বা বসার কোনো উদ্যোগও নেই।
২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের পর সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি যোগ দেয় সরকারেও। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে করা হয় পূর্ণ মন্ত্রী আর মুজিবুল হক চুন্নও এবং মশিউর রহমান রাঙ্গাকে করা হয় প্রতিমন্ত্রী। এরশাদ নিজেও মন্ত্রী পদমর্যদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত নিয়োজিত হন।
শুরু থেকেই বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকারে থাকা নিয়ে সমালোচনা ছিল রাজনৈতিক অঙ্গণে। আর এরশাদ নানা সময় বলেছেন, তার দলের মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন। কিন্তু সেটি আর হয়ে উঠেনি।
সম্প্রতি বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের এক বক্তব্যে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আসলে সরকারি দলে নাকি বিরোধী দলে- কেউ এমন প্রশ্ন রাখলে এর সদুত্তর দিতে পারি না। ফলে জাপা তার প্রাপ্য সম্মানের জায়গায় নেই।’
প্রধানমন্ত্রীকে রওশন বলেন, ‘সরকারে থেকে জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের সরিয়ে দিন। সরকারে থাকা বিরোধী দলের মন্ত্রীদের বাদ দিলে জাপা বেঁচে যেত। হয় কয়েকজন মন্ত্রীকে সরিয়ে নিন, নইলে সবাইকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে নিন।’
আর ২ মার্চ এরশাদ রংপুরে বলেন, ‘বর্তমান মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির যে তিনজন মন্ত্রী আছেন, আমিও মন্ত্রীর পদমর্যাদায় আছি। আমরা কিছুদিনের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করব। কারণ মন্ত্রিত্ব নিয়ে আমরা সমালোচনার মুখে পড়েছি। দেশের মানুষের কাছে আমাদের দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।’
দুই দিন পর গাইবান্ধায় গিয়ে এরশাদ আবার বলেন, তার দল সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায়। এজন্য শিগগিরই দলীয় মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন। তাদের পদত্যাগের পর তিনিও বিশেষ দূতের আসন থেকে পদত্যাগ করবেন।
অবশ্য এরশাদের এমন বক্তব্য এর আগেও এসেছে। ২০১৭ সালের ৩ আগস্টও রাজধানীর বনানীতে দলীয় এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভা থেকে তার দলের সদস্যদের এবং বিশেষ দূতের পদ থেকে তার নিজের পদত্যাগের কথা বলেন।
সেদিন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় থাকা জাতীয় পার্টির জন্য লজ্জার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আমাকে দূত পদ দিয়ে সম্মান দিয়েছেন। তাকে বলেছি পদত্যাগের বিষয়ে। উনি আমাকে জানাবেন। তার আগে পদত্যাগ করে ওনাকে অসম্মান করতে চাই না।’
অর্থাৎ মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির পদত্যাগের বিষয়টি ঘোষণায় থাকলেও বাস্তবে এ নিয়ে সন্দেহ আছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কয়মাস আছি আর? চার-পাঁচ মাস? উনি (এরশাদ) তো নির্ধারিত কোনো তারিখ বলেননি। কবে করবেন বলেছেন? বলেননি। শিগগিরই বলেছেন। সেটা এখন হতে পারে। বা নাও হতে পারে।’
‘আমাদের দলের দুইটা শাখা। একটা হল প্রেসিডিয়াম আরেকটা হল সংসদের পার্টি। কোন জায়গায় এ বিষয় নিয়ে কোনো মিটিং হয়নি, আলোচনাও হয়নি। এটাতো দলীয় এবং নীতিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার। দলীয় সিদ্ধান্ত হলে তো আমরা মানবই।’
আপনার ব্যক্তিগত মত কী-এমন প্রশ্নে চুন্নু বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। দল যা বলে তা। আমাদের কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ সংসদে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু দলে মিটিংয়ে এগুলো বলেননি। আমাকেও এখনও বলেননি।’
অন্য এক প্রশ্নে চুন্নু বলেন, ‘পদত্যাগ করলে সবাই একসঙ্গেই করব। তবে, এখনও করার সিদ্ধান্ত হয়নি। উনি শুধু বলেছেন শিগগিরই করব। কিন্তু উনিতো বলেননি কালকেই আমরা করে ফেলব। শিগগির বলতে তো দুই বা তিনমাসও লাগতে পারে।’
বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ যে বলেছেন, জাতীয় পার্টি প্রকৃত বিরোধী দল হতে চায়?- এমন প্রশ্নে চুন্নু বলেন, ‘এই চার পাঁচ মাসের বিরোধী দল হয়ে কী হবে? চার-পাঁচবছর কোনো খবর নাই। এখন আসছে বিরোধী দলের ভূমিকা। এগুলো শুধু শুধু বলা।’
For Advertisement
750px X 80px Call : +8801911140321কারেন্ট নিউজ বিডি'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মতামত: