For Advertisement
750px X 80px Call : +8801911140321ফাঁকা মাঠে সেতু, নেই কোনো সড়ক

সংযোগ সড়ক না থাকায় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে প্রায় ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লক্ষ্মীপুর ও বোগলাবাজার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে ২০১৪ সালে লিয়াকতগঞ্জ (পশ্চিম বাংলাবাজার) বোগলাবাজার সড়কের ইদ্রিসপুর অংশে খাসিয়ামারা নদীর ওপর প্রায় ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় সেতুটি।
For Advertisement
750px X 80pxCall : +8801911140321
নির্মাণের পরপরই পাহাড়ি ঢলে সেতুর সংযোগ সড়কের দুই দিকের মাটি সরে যায়। ফলে মূল সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এটি। এতে লক্ষ্মীপুর ও বোগলাবাজার দুই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষজন প্রতিনিয়ত চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
দীর্ঘ ৬ বছর ধরে সেতুটি এভাবে পড়ে থাকলেও যেন কেউ দেখার নেই। শুষ্ক মৌসুমে বিকল্প রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন এলাকাবাসী। আর বর্ষাকালে সড়কের সাথে সেতুটির সংযোগ না থাকায় সীমান্ত এলাকার যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। মূলত নির্মাণের পর সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ইদ্রিসপুর গ্রামের মনির হোসের বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকার অবগত করলেও সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট করা হচ্ছে না। ফলে এলাকাবাসীকে বিকল্প রাস্তায় চলাচল করতে হয়। বর্ষাকালে চলাচলে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়।
বক্তারপুর গ্রামের হাবিল মিয়া বলেন, সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় এ পথে চলাচল করতে পারছি না। এলাকার হাজার হাজার মানুষকে বিকল্প সড়ক ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে আমরা সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছি।
লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমীরুল হক বলেন, সেতুটি নির্মাণের পর সংযোগ সড়ক পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যাওয়ার পর মাটি ভরাটের জন্য কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তাই এখনও মাটি ভরাট করা যায়নি। ফলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অনেকদিন ধরেই এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে এখানকার সেতুটির এমন অবস্থার কথা জানিয়ে আসছি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জানতে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোনিয়া সুলতানার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
For Advertisement
750px X 80px Call : +8801911140321কারেন্ট নিউজ বিডি'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মতামত: