For Advertisement
750px X 80px Call : +8801911140321ভোটারদের আস্থা অর্জন করলে সংসদ ভোটে ইভিএম: ইসি সচিব

ঢাকা, ২০ মার্চ, কারেন্ট নিউজ বিডি : ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে পারলে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা যেতে পারে। এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সোমবার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
কমিশন সভায় ইভিএমের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ইভিএম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এগুলো (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে এবং ভোটারদের মধ্যে যদি আস্থা অর্জন করা যায়, তাহলে এটা পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ধরনের একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
For Advertisement
750px X 80pxCall : +8801911140321
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহার করতে চায় কি না- এ প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, না, এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শুধুমাত্র বলা হয়েছে যে, আসন্ন যেসব স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে, এই নির্বাচনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইভিএম ব্যবহার করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, রোববার আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ইভিএম ব্যবহারে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে ইভিএম ব্যবহারে কি কি সমস্যা হতে পারে, ওই সমস্যার সমাধান কি হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় মাঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওই বৈঠকে।
সূত্র আরো জানায়, সম্প্রতি ইভিএমে পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত কারিগরি কমিটির সভায় ইভিএমের কাঠামো ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনার ১১টি সুপারিশ করা হয়।
এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- ইভিএম ব্যবহারবান্ধব ও সময়সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে ভোটার শনাক্তকরণ ও ভোটিং মেশিন দুটি সন্নিবেশিত করে একটি মেশিনে রূপান্তরিত করা; কিউআর কোড মুদ্রণ এবং এর ব্যবহার বাতিল করে শুধুমাত্র একটি মেশিনের মাধ্যমে ভোটার শনাক্ত (ফিঙ্গার প্রিন্ট, এনআইডি নম্বর, স্মার্টকার্ড ও ভোটার নম্বরের মাধ্যমে) করে ডিজিটাল ব্যালট ইস্যু করা; বর্তমানে এক মেশিনে ভোটার শনাক্তের পর আরেকটিতে ব্যালট ইস্যু করা হয়। এরপর ভোটাররা গোপন বুথে গিয়ে ভোট দেন, যা সময় সাপেক্ষ। দুটি মেশিন একটিতে রূপান্তর করা হলে ব্যয় ও সময় অনেক কমে যাবে; ইভিএমে পেপার অডিট ট্রায়াল প্রযুক্তি যুক্ত করা। এর মাধ্যমে একজন ভোটার কোন প্রার্থীকে ভোট দিলেন তা একটি কাগজে ছাপা হয়ে নির্দিষ্ট ব্যালটে জমা হবে। এর মাধ্যমে মেশিনের পাশাপাশি ছাপার কাগজেও ভোটের তথ্য সংরক্ষিত হবে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা চাইলে ম্যানুয়ালি ওই কাগজ গুনে ভোটের ফলাফল প্রকাশ করতে পারবেন; ভোটারদের আস্থা অর্জনে ভোট শেষ করা মাত্রই ডিজিটাল ব্যালটের পুরো স্ক্রিন জুড়ে প্রদানকৃত ভোটের প্রতীক ও ছবি প্রদর্শন করা; ইভিএমে ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম ও এপ্লিকেশন সফটওয়্যার অনুযায়ী প্রসেসর, মাদারবোর্ড ও আনুষঙ্গিক হার্ডওয়্যার পরিবর্ধন ও উন্নীত করা; ব্যালট ইউনিটে ভোট প্রদানের বাটনগুলো আকারে বড় করা এবং ভিন্ন ভিন্ন রঙ করা।
এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এর আগে জানান, নির্বাচনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর অংশ হিসেবে সাধারণ মানুষের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেয়া হচ্ছে। ইভিএমে অতীতের ভুলত্রুটি সংশোধন করে নতুনত্ব আনা হচ্ছে।
তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করতে হলে আরপিও সংশোধন করে এ বিষয়টি যুক্ত করতে হবে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।
For Advertisement
750px X 80px Call : +8801911140321কারেন্ট নিউজ বিডি'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মতামত: