For Advertisement
750px X 80px Call : +8801911140321গাছ কেটে বেনাপোল-যশোর সড়ক নির্মাণের দাবি

ঢাকা, ২৪ মার্চ, কারেন্ট নিউজ বিডি : ঐতিহাসিক বেনাপোল-যশোর সড়ক পরিদর্শন করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির পাঁচ সদস্যের সাবকিমিটি। এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন গাছ কেটে সড়কটি সম্প্রসারণের দাবি জানিয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পাঁচ সদস্যের সাবকিমিটি বেনাপোল-যশোর মহাসড়ক সরেজমিন পরিদর্শনের পর বেনাপোল পর্যটন মোটেলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্নœ সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। নাগরিক অধিকার আন্দোলন, যশোরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা ওই দাবি তোলা হয়।
For Advertisement
750px X 80pxCall : +8801911140321
রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিকের নেতৃত্বে সংসদীয় সাবকমিটির অন্য সদস্যরা হলেন এ কে এম এ আওয়াল, নাজমুল হক প্রধান, মনিরুল ইসলাম ও শেখ আফিল উদ্দিন সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গাছ রেখে রাস্তা প্রশস্ত করলে শত শত একর কৃষিজমি নষ্ট, কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব ও শেকড়ের কারণে ভবিষ্যৎ ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে মত প্রকাশ করা হয়।
এ ছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও ঐতিহ্য স্মারক বৃক্ষ রক্ষার দাবিতে দেয়া আইনি নোটিশ এবং হাইকোর্টে দাখিল করা রিটটিও তুলে নেয়ার দাবি জানানো হয় সভায়।
এর আগে সকালের দিকে এই দাবিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বেনাপোল প্রেসক্লাব ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক মানের স্থলবন্দর হওয়ায় এখানে আমদানি-রফতানি অন্য সব বন্দর থেকে কয়েক গুণ বেশি। যে কারণে এই সড়কটিতে যানবাহনের ব্যাপক চাপ দেশের অন্য সব সড়ক-মহাসড়কের চেয়ে বেশি। প্রতিদিন কয়েক হাজার ট্রাক ও অন্যান্য পরিবহন আসা-যাওয়া করে।
এশিয়ান হাইওয়ের এই সড়কটি দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অতীব প্রয়োজনীয় এই সড়কটি সম্প্রসারণ করা ছাড়া বিকল্প নেই বলে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে মতামত উঠে আসার পর জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্প অনুমোদন হয়।
গত বছরের ২১ মার্চ ৩২৯ কোটি টাকার প্রকল্পটি সড়কের দুই পাশের গাছ কেটে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। যানবাহনের চাপ সামলাতে ২৪ ফুট প্রস্থের রাস্তাটি ৪০.৩৫ ফুট চাওড়া করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
এ বছরের ৬ জানুয়ারি যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা ও প্রতিবাদ ওঠে। গাছ কাটার পক্ষে-বিপক্ষে মতামত তৈরি হয়।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ জানুয়ারি উচ্চ আদালত ৬ মাসের জন্য গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশ দেয়। ফলে যশোর-বেনাপোল সড়ক সম্প্রসারণ কাজ ঝুলে যায়।
গাছ কাটার বিরোধীরা এ সড়কের ঐতিহাসিক ও পরিবেশের গুরুত্বের কথা সামনে আনছেন। এর দুই পাশের গাছগুলো শতবর্ষী। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখছে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদারদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ এই সড়ক দিয়েই ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এ নিয়ে বিখ্যাত মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ লেখেন সেই অবিস্মরণীয় কবিতা ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’। এই পক্ষের লোকজন গাছগুলো রেখেই সড়ক সম্প্রসারণের দাবি করছেন।
বিপক্ষরা বলছেন, গাছ রেখে সড়ক প্রশস্ত করতে গেলে বহু মানুষের বাড়িঘর সরাতে হবে। এতে সরকারের খরচ হবে কয়েক হাজার কোটি টাকা। তারা জনস্বার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সড়কটি প্রশস্ত করার তাগিদ দেয় সরকারকে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, সেক্রেটারি এমদাদুল হক লতা, নুরুজ্জামান, বেনাপোল প্রেসক্লাবের সভাপতি মহসিন মিলন, নাসির উদ্দিন, এনামুল হক মকুল, ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের বন্দর সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, বেনাপোল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বকুল মাহবুব ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এম রহমান রাসু।
For Advertisement
750px X 80px Call : +8801911140321কারেন্ট নিউজ বিডি'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মতামত: