For Advertisement
750px X 80px Call : +8801911140321আরব আমিরাতে কর্মী নিয়োগ: কীভাবে দেখছে সবাই

২০১৭ সালে আরব আমিরাতের আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে যার প্রেক্ষিতে ১৯টি ক্যাটাগরিতে কর্মী নেয়া হবে সেখানে। এ বিষয়ে বুধবার দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই করা হয়।
এ বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব নমিতা হালদার বিবিসিকে জানান, তাদবির নামের নতুন একটি এজেন্সির মাধ্যমে এই ১৯টি ক্যাটাগরিতে আরব আমিরাতে কর্মী নিয়োগ করা হবে। এই সংস্থাটি সরাসরি আরব আমিরাতের হিউম্যান রিসোর্স ও এমিরেটাইজেশন মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করবে।
For Advertisement
750px X 80pxCall : +8801911140321
অনেকে এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও প্রবাসীদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণে সরকারের পদক্ষেপ ও কার্যক্রমের সমালোচনাও করেছেন অনেকে।
কামরুজ্জামান রাজু: কিছু আদম দালালের ব্যাংক ব্যালেন্স অনেক বেড়ে যাবে আর অনেক বৈদেশিক শ্রমিকের সুদের হার বেড়ে যাবে, অভাব রয়ে যাবে সারা টি জীবন। ভারত থেকে শ্রমিক আসে মাত্র ৫০/৬০ হাজার রুপি তে। আমাদের শ্রমিকরা বিদেশ যায় ৮/৯ লাখ টাকায়!!
পল মাহমুদ: সুনির্দিষ্টভাবে ১৯ টি ক্যাটাগরির অনুমোদন দিয়েছে আরব আমিরাত। যেগুলোর অধিকাংশই আগে থেকেই চলমান রয়েছে। বিস্তারিত না জানিয়ে ঢালাওভাবে এসব সংবাদ প্রচার করলে কিছু অসাধু আদম ব্যাপারী গরীব মানুষের টাকা হাতিয়ে নেবে।
সেজান মাহমুদ: একবার ভেবে দেখুন আমরা প্রবাসী হয়েছি ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে, ৮০০ টাকা বেতন, ওভার টাইম দিয়ে ১২০০আসে। অথচ ভারত,নেপালি পাকিস্তানি শ্রীলংকানদের প্রবাসী হতে ৮০ হাজার হতে ১ লক্ষের কিছু বেশী টাকা লাগে, বেতন ১২০০/১৪০০ ওভার টাইম দিয়ে ২২০০/২৪০০ টাকা পায়। এখন বুঝুন বাংলাদেশ সরকার কতো ভালো আর কতই বা প্রবাসীদের ভালোবাসে।
আহমেদ ইমরান:সারা দেশের সংবাদ ঢালাওভাবে এই খবর প্রকাশ করছে। আসল বিষয় গুলা তো কেউ লিখে না। দালালি করতে সবার খুব মজা লাগে।
আবুবকর হাশেমি: দেশে যেহেতু কাজের অভাব, কর্মসংস্থানের অভাব, কোটি কোটি পুরুষ নারী বেকার। পারিবারিক সামাজিক অভাব অস্থিরতা আর বিচ্ছৃঙ্খল বৈষম্যের বিবেচনায় বিদেশে বাংলাদেশী মানুষ বা জনগণেকে শ্রমিক হিসেবে পাঠানো সরকারের সফলতা। তবে বিদেশে বা উন্নত দেশে বাংলাদেশের মানুষকে শ্রমিক বা কর্মী হিসেবে পাঠানো বাংলাদেশী হিসেবে বিদেশীদের কাছে অপমান জনক।
সঞ্জীব চৌধুরী: দরজা খুললেই সবাই ঝাঁপিয়ে পড়বে ! দরজার ওপাশে আলো নাকি আঁধার সেটা কেউ যাচাই করবে না।
নাজমুল হুদা: বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য নিঃসন্দেহে বিষয়টা পজিটিভ। তবে সময় বলে দেবে এটা কতটা ইফেক্টিভ আমাদের জন্য।
মিসির আলী: সৌদি আরবের মত প্রবাসীদের সব আয় কেড়ে নেবে না তো আমিরাত সরকারও?
শহীদুর রহমান সেলিম: অবশ্যই এটা সুদুর প্রসারী পদক্ষেপ, তবে আরও আগে হলে আরও বেশ কিছু লোকের কর্মসংস্থান হতো।
হোসাইন দিলওয়ার: দালালের চক্র থেকে বাচতে হবে। আর ১লাক্ষ টাকার ভিতরে যদি যাওয়া যায় তাহলে প্রবাসীরা কিছু করতে পারবে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব নমিতা হালদার জানান নতুন যে আইনের আওতায় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলো সেখানে উল্লেখিত আছে যে ১৯টি শ্রেণীর কর্মীর সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে হবে।
তিনি বলেন কর্মীদের নিয়মিত বেতন পাওয়া, নিয়মিত খাবার, কমপক্ষে ৯ ঘন্টা বিশ্রামের সুযোগ ও সপ্তাহে একদিন ডে অফ বা কর্মবিরতির কথাও বলা আছে এই আইনে|
মিজ. হালদার আরো জানান যদি কোনো কারণে কর্মীর আইনি সহায়তা প্রয়োজন প্রয়োজন হয় তাহলে তাদবির নামের সংস্থাটির নির্ধারিত আইন উপদেষ্টার সহায়তা নিতে পারবেন ঐ কর্মী। সূত্র: বিবিসি বাংলা
For Advertisement
750px X 80px Call : +8801911140321কারেন্ট নিউজ বিডি'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মতামত: