For Advertisement
750px X 80px Call : +8801911140321ধানের সাথে শশ্রুতা!

ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর, কারেন্ট নিউজ বিডি : ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় উল্ল্যা গ্রামে হাফিজুর রহমান নামের এক বর্গাচাষীর দেড় বিঘা আমন ক্ষেতের ধান তেজোষ্ক্রিয় পদার্থ প্রয়োগ করে নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এখন ক্ষেতটির ধানগাছ লাল হয়ে গেছে। বুধবার রাতের কোন এক সময় দূর্বৃত্তরা এমন কাজ করেছে এবং ওই ক্ষেত থেকে আর এক কেজি ধানও পাওয়া যাবেনা বলে ক্ষেত মালিক মনে করছেন। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক হাফিজুর রহমান উপজেলার উল্যা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।
সরেজমিনে ওই ক্ষেতে গেলে দেখা যায়, ক্ষেতের সব ধানের গাছে প্রাথমিক থোড় এসে গেছে। ফলে ক্ষেতের ধানগাছগুলোতে অল্প দিনের মধ্যেই শিষ বের হতো। কিন্ত তেজোষ্ক্রিয় কোন পদার্থ ক্ষেতে দেওয়ার কারণে পাতাসহ প্রতিটি ধান গাছের গোড়া পর্যন্ত শুকিয়ে লাল বর্ণের হয়ে গেছে। আর একটু দুর মাঠের রাস্তা থেকে তাকালে মনে হচ্ছে সারা মাঠের সবুজ কাঁচা ধানের ক্ষেতের মধ্যে একটি পাকা ধান ক্ষেতে মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে।
For Advertisement
750px X 80pxCall : +8801911140321
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক হাফিজুর রহমান জানান, নিজে একজন গরীব কৃষক। ক্ষেতের অর্ধেক ধান দেয়ার চুক্তিতে তার গ্রামের রবিউল ইসলামের দেড় বিঘা জমি বর্গা নিয়ে মৌসুমের প্রথমে বি আর ৫১ জাতের উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান লাগিয়েছিলেন। সার, কীটনাশক আগাছা দমনসহ সকল পরিচর্যা করে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ করেছেন। তিনি বলেন, ক্ষেতের ধানগাছ দেখে মনে হচ্ছিল মোট ৪৮ থেকে ৫০ মন ধান পাবেন। কিন্ত ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সব আশা ধুলোয় মিশে গেছে।
গ্রামবাসী জানান, হাফিজুর রহমান তাদের গ্রামের একটা সহজ সরল নিরীহ প্রকৃতির মানুষ। সে কোন রাজনীতি সামাজিক দলাদলিতে বিশ্বাস করে না। গ্রামের কারও সাথে কোনদিন কলহেও কেউ জড়াতে দেখেনি। সাংসারিক কাজ ছাড়া সে কোন সময় বসে থাকে না। অভাবের সংসারে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার জোগান দেয়। ফলে তার মত নিরীহ মানুষের এতা বড় ক্ষতি কল্পনায় করা যায় না। তারা আরো বলেন, ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় একজন ক্ষতিগ্রস্থ হলো। কিন্ত যারা নষ্ট করলো তাদের কি লাভ হলো। গ্রামবাসীর ভাষ্য, তার এ ক্ষেত কে নষ্ট করলো তা একদিন না একদিন বেরিয়ে আসবে। তার আগে অনুমানের ওপর ভিত্তি করে কাউকে দোষ দেয়াটাও ঠিক হবে না।
ওই গ্রামের বাসিন্দা শের আলী জানান, তার গ্রামের হাফিজুর রহমান একটা নিরীহ ছেলে। তার ধানক্ষেত নষ্ট হয়েছে শুনে তিনি দেখতে গিয়েছিলেন। সমস্ত ক্ষেতের ধানগাছ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। তিনি বলেন,ক্ষেত দেখে মনে হচ্ছে কেউ শশ্রুতা করে ক্ষেতটিতে কিছু প্রয়োগ করেছে।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান জানান, আর অল্প কয়েকদিন পরেই ধানের শিষ বের হবে। আমন মৌসুমে ক্ষেতে কৃষকের যে উৎপাদন ব্যয় তা এক প্রকারে হয়েই গেছে। ধান পাকার আগ পর্যন্ত আর তেমন একটা খরচ নেই। ফলে এখন ক্ষেত নষ্ট হলে কৃষক সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন না।
For Advertisement
750px X 80px Call : +8801911140321কারেন্ট নিউজ বিডি'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মতামত: