For Advertisement
750px X 80px Call : +8801911140321বিজ্ঞানীদের ধারনা
মঙ্গলে না গেলে বিলুপ্ত হবে মানবজাতি?

ফাইল ছবি
বর্তমান বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম পরিচিত মুখ মিচিও কে কু। শৈশবেই তিনি তৈরি করেছিলেন এটম স্ম্যাশার। পরে তিনি হন স্ট্রিং থিওরি প্রণেতাদের একজন। তিনি বিজ্ঞানের উপর অনেকগুলো ‘বেস্টসেলিং’ বই লিখেছেন। এখন এই বিজ্ঞানী ডিসকভারি, বিবিসির মতো বিখ্যাত সব টেলিভিশন চ্যানেলে বক্তা হিসেবে হাজির হয়েছেন।
সম্প্রতি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, এই পৃথিবী একদিন মানুষের বসবাসের জন্য একেবারেই অযোগ্য হয়ে যাবে। এ কারণে বিলুপ্তির হাত থেকে মানবজাতিকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই মঙ্গলে বসতি গড়ার পরিকল্পনা ও চিন্তা করতে হবে।
For Advertisement
750px X 80pxCall : +8801911140321
এরইমধ্যে বিজ্ঞানী মিচিও কে কু এর এমন বক্তব্য কতটুকু বাস্তবসম্মত তা নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক উঠেছে।
এই বিজ্ঞানী তারপরেও নিজের দাবিতে অনড় রয়েছেন। তিনি মনে করেন, এখন যতই তর্ক করা হোক না কেন, একদিন এটাই সত্য বলে প্রমাণিত হবে। তিনি তার সাড়া জাগানো ‘দ্য ফরচুন অব হিউম্যানিটি’ গ্রন্থে স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন, মানুষের ভবিষ্যত পৃথিবীতে নয়- মঙ্গলে।
তাকে জিজ্ঞেস করা হয় এমন মন্তব্য তিনি কেন করলেন, উত্তরে সে ব্যাপারে বলেন- বিষয়টির গুরুত্ব বুঝেই কিন্তু বর্তমানের মাল্টি বিলিয়নাররা মহাকাশ পর্যটনের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। এলন মাস্ক স্পেস পর্যটনের ঘোষণা দিয়েছেন আরো আগেই। হয়তো ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহেই ব্যালে ড্যান্সের আসর বসবে।
পৃথিবীতে বসবাসের আশা ত্যাগ করার সময় আসলেই এসেছে কি না এই প্রশ্নে জবাবে মিচিও বলেন, পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে অসংখ্য প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এ কথা সবাইকে মনে রাখতে হবে মানুষও কিন্তু একটি প্রাণী- আজীবন পাওয়া কোনো বিশেষ সৃষ্টি নয়। অন্য প্রাণী বিলুপ্ত হলে মানুষের ক্ষেত্রেও সেটা ঘটতে পারে।
তিনি বলেন, পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারলে বিলুপ্তি থেকে কোনোভাবেই রেহাই হবে না। এটাও মনে রাখতে হবে, অনেক বছর আগে যখন বিশাল বিশাল আকৃতির ডাইনোসররা বিলুপ্তির হুমকিতে পড়েছিল তখন তারাও প্রাণে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা নিজেদের শেষ রক্ষা করতে পারেনি।
জিওগ্রাফিককে এই বিজ্ঞানী বলেন, ডাইনোসরদের যুগে তাদের বিলুপ্তির পেছনে একাধিক কারণ ছিল।
ভবিষ্যতে পৃথিবী থেকে মানব জাতির বিলুপ্তির জন্য বড় ভূমিকা পালন করবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং, পরমাণু শক্তির লড়াই এবং জিনগত পরিবর্তন লাভ করা জীবানু। এ জাতীয় জীবানু এক সময় এতোই শক্তিশালী হবে যে কোনো এন্টিবায়োটিকও তাদের কাবু করতে পারবে না। তখন কারো শরীরে একবার আক্রমণ করলেই তাকে না মেরে ক্ষান্ত হবে না। বর্তমানে পৃথিবী থেকে বহু প্রাণের বিলুপ্তির ‘চক্র’ চলছে। কোনো একদিন মানুষেরও এই চক্রে পড়ার পালা আসবে। তাই ‘ব্যাকআপ প্ল্যান’ হিসেবে মানব জাতিকে মঙ্গলে বসতি গড়ার চিন্তা করতে হবে।
তিনি এও মন্তব্য করেছেন, মঙ্গলে বসবাসের কিছু অসুবিধাও হবে মানুষের জন্য। শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যা ছাড়াও সেখানকার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর মাত্র ৩০ শতাংশ।
মিচিও কে কু বলেছেন, তার কথাগুলো আজ অনেকেই হাসি দিয়ে উড়িয়ে দিচ্ছে এমন একদিন আসবে, যেদিন সবাই তাকে ধন্যবাদ জানাবে।
For Advertisement
750px X 80px Call : +8801911140321কারেন্ট নিউজ বিডি'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মতামত: