For Advertisement
750px X 80px Call : +8801911140321অপবাদ সইতে না পেরে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা

সহপাঠীদের দেওয়া মোবাইল চুরির অপবাদ ও শিক্ষকদের বিরূপ আচরণ সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মিসতাউল ইসলাম সাদিদ নামের এক স্কুলছাত্র। সে মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ সহপাঠীরা মঙ্গলবার দিনভর বিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ সারা শহরে বিক্ষোভ করেছে।
For Advertisement
750px X 80pxCall : +8801911140321
মিসতাউল মাগুরার শহরতলি বেলনগর গ্রামের মাসুদ করিমের ছেলে।
মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও একই ক্লাসের ছাত্র আবিদ রোববার ব্যাগের মধ্যে লুকিয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে যায় স্কুলে। কিন্তু মিসতাউল ইসলাম সাদিদ কাউকে না জানিয়ে আবিদের ফোনটি নিজের ব্যাগে লুকিয়ে রাখে।
এদিকে নিজের ব্যাগে মোবাইল ফোন না পেয়ে আবিদ সহপাঠীদের নিয়ে তল্লাশি করে। এ সময় মিসতাউলের ব্যাগে ফোনটি পাওয়া গেলে সে মজা করার জন্যে নিয়েছে বলে জানায়।
এদিকে সিয়াম নামে নবম শ্রেণির অপর এক ছাত্র শিক্ষকদের কাছে বিষয়টি জানালে তারা বাড়িতে অভিযোগ পাঠান। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মিসতাউলের বাবা মাগুরা পৌরসভার ক্লার্ক মাসুদ করিম ছেলেকে গালমন্দ করেন। পাশাপাশি মিসতাউলও শিক্ষকদের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করে।
এদিকে ১ অক্টোবর সোমবার থেকে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলা বিএনসিসির ৭ দিন ব্যাপী ক্যাম্পে মিসতাউলসহ মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ৬ শিক্ষার্থীর অংশ নেয়ার কথা। কিন্তু মোবাইল চুরির অভিযোগে মিসতাউলকে ক্যাম্পিং থেকে বাদ দিয়ে বিএনসিসির পোশাক ফিরিয়ে নেয়া হয়। সে কারণেই সোমবার রাতে বাড়িতে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করে বলে সহপাঠীদের অভিযোগ।
তবে মৃত্যুর আগে মিসতাউল তিন পাতার একটি সুইসাইড নোট লেখে যায়। যেখানে সে শিক্ষকসহ সবার কাছেই ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। আবার মোবাইল ফোন সেরে রাখার বিষয়টি মজার ছিল উল্লেখ করে সহপাঠী সিয়ামের আচরণে কষ্ট পেয়েছে বলে প্রকাশ করেছে।
এদিকে মিসতাউলের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ সহপাঠিরা মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে অনির্দিষ্টকালের জন্যে বিদ্যালয় ছুটির ঘোষণা দেয়া হয়। পাশাপাশি বিদ্যালয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া এবং মিথ্যাচারের অভিযোগে আবিদ এবং সিয়াম নামে নবম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও অফিস সহকারী আকরাম হোসেন এবং বিএনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ফিরোজ হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হাসান বলেন, বন্ধুর মৃত্যুতে সহপাঠীরা কষ্ট পেয়েছে। আমরাও ব্যথিত। তবে খুব শিগগিরই বিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে।
মাগুরা সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
For Advertisement
750px X 80px Call : +8801911140321কারেন্ট নিউজ বিডি'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মতামত: